সেশনের শুরুতে শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানাও। তোমার এবং সহপাঠীদের পরিবারে কেউ অসুস্থ থাকলে তা শিক্ষককে বলো। তারপর সমবেতভাবে সকল অসুস্থ ব্যক্তির সুস্থতা কামনা করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো।
এ সেশনে শিক্ষক তোমাদের ৩-৫ জন করে দলে ভাগ করবেন। তোমরা নিজেরাই দলনেতা নির্বাচন করবে। সহপাঠীদের সমর্থন পেলে তুমিও দলনেতা হতে পারো। শিক্ষক তোমাদের প্রতিটি দলে নিচের প্রশ্ন সম্বলিত চিরকুট দেবেন।
'কী কী মানবীয় গুণ আমাদের অন্যের প্রতি সহনশীল ও ক্ষমাশীল হতে সহায়তা করে?' |
তোমরা দলে বসে পাঁচ মিনিট প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করবে। তারপর পোস্টার পেপারে-রং পেন্সিল দিয়ে একটি সূর্যমুখী ফুল আঁকবে। দলের একজন একাই সম্পূর্ণ ফুলটি অঙ্কন করবে না। প্রথমে দলনেতা ফুলটির মাঝখানের বৃত্তাকার অংশটি আঁকবে এবং তাতে "মানবীয় গুণাবলি" কথাটি লিখবে। এরপর প্রত্যেক শিক্ষার্থী বৃত্তের চারদিকে একটি করে পাপড়ি আঁকবে এবং সেই পাপড়িতে একটি গুণের নাম লিখবে। এভাবে একটি সূর্যমুখী ফুল আঁকার মাধ্যমে তোমরা প্রত্যেকে প্রশ্নটির উত্তর লেখার জন্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে। তোমার বইয়ে একটি সূর্যমুখী ফুল দেয়া আছে। দেখো, তোমরা পোস্টার পেপারে যে ফুলটি অঙ্কন করেছ সেটি এরকম হয়েছে কি না।
নির্ধারিত সময় পরে দলনেতাগণ ফুল আঁকা পোস্টার-পেপার শ্রেণিকক্ষের চারদিকে রশিতে টাঙিয়ে দেবে। সবাই ঘুরে ঘুরে এগুলো দেখবে ও পর্যবেক্ষণ করবে। নিজ দলের সূর্যমুখী ফুলে যে গুণের নাম লেখা হয়নি, তা যদি অন্য দল লিখে তবে তুমি তা নোটবুকে লিখে রাখো।
বাড়ির কাজ
শিক্ষক তোমাদের বাড়ির কাজ দেবেন। বাড়িতে গিয়ে তোমরা মা-বাবা/ অভিভাবকের সাথে ক্রোধ ও প্রতিশোধ পরিহার, শত্রুর প্রতি সহনশীলতা ও ক্ষমার বিষয় নিয়ে কথা বলবে এবং এ বিষয়ে মা-বাবা/অভিভাবকের ধারণা লিপিবদ্ধ করবে। পরবর্তী সেশনে তোমরা শ্রেণিকক্ষে এ বাড়ির কাজ উপস্থাপন করবে।
Read more